Saturday, 6 April 2024

ব্যাঙ্গালোরের সেরা ১০টি ঘুরবার জায়গা, Top 10 tourist places in Bangalore

 ব্যাঙ্গালোর এর সেরা ১০ টি ঘুরবার জায়গাগুলি -

  • 1. লালবাগ বোটানিক্যাল গার্ডেন : এই উদ্যানটি ব্যাঙ্গালোরের একেবারে প্রাণকেন্দ্রে অবস্থিত। এই উদ্যানটি 240-একর জুড়ে রয়েছে এবং 1,800 টিরও বেশি উদ্ভিদ প্রজাতি রয়েছে। এই উদ্যানে একটি গ্লাসহাউস, একটি হ্রদ এবং অনেকগুলি স্মৃতিস্তম্ভ রয়েছে। প্রতি বছর, ২৬শে জানুয়ারি ও ১৫ অগাস্ট উপলক্ষ্যে বছরে দুইবার ফুলের শো অনুষ্ঠিত হয় যা সাধারণত এক সপ্তাহ ব্যাপী চলতে থাকে। এই ফুলের শো উপলক্ষ্যে লক্ষ লক্ষ মানুষ এখানে ভিড় জমায়। বোটানিক্যাল গার্ডেন সর্বসাধারণের জন্য প্রতিদিন সকাল ৬টা থেকে সন্ধ্যা ৭টা পর্যন্ত খোলা থাকে।নভেম্বর থেকে ফেব্রুয়ারি লালবাগ বোটানিক্যাল গার্ডেন দেখার সব সময় ভাল সময়।বাগানে, মোবাইলে ফটোগ্রাফি বা ভিডিওগ্রাফির অনুমতি থাকলেও সাধারণ বা ডিজিটাল ক্যামেরা, ট্রাইপড এবং জিনিস যা বাগানের উদ্ভিদ জীবনের ক্ষতি করতে পারে  এমন কিছু নিয়ে প্রবেশের অনুমতি নেই।  দর্শনার্থীরা বাগানে খাবার বা পানীয় বাইরে থেকে আনতে পারবে না তবে এই বাগানের ভেতর কিছু অনুমোদিত স্টলের থেকে খাবার কিনে খাওয়া যাবে। এছাড়া বাগানের প্রবেশপথের বাইরে অনেকগুলি  খাবার ও পানীয়ের স্ট্যান্ড রয়েছে। ২০২৪ সালে এই উদ্যানের প্রবেশমূল্য ভারতীয় নাগরিকদের জন্য জনপ্রতি 25 টাকা। বিদেশীদের জন্য জনপ্রতি 300 টাকা। গ্রীন লাইন মেট্রোর লালবাগ স্টেশনে নেমে হেটে এই উদ্যানে পৌঁছাতে পারবেন।  জয়নগর বা বনশঙ্করি যাবার বাস গুলি এই গার্ডেনের ৪ টি প্রবেশদ্বারের যেকোনোটির পাস দিয়ে যায়। গাড়ি নিয়ে এখানে এলে প্রবেশ দ্বারের সামনেই পার্কিং এর ব্যবস্থা আছে. তবে ফুলের শো এর কয়দিন অতিরিক্ত ভিড়ের কারণে এই পার্কিং বন্ধ থাকে।

লালবাগ বোটানিক্যাল গার্ডেন, ব্যাঙ্গালোরে ভ্রমণের জন্য কিছু টিপস নিম্নরূপ:

সময় নির্বাচন: লালবাগ সকাল ৯টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত খোলা থাকে, সোমবার এবং মঙ্গলবার বাদে।

প্রবেশ মূল্য২০২৪ সালে এই উদ্যানের প্রবেশমূল্য ভারতীয় নাগরিকদের জন্য জনপ্রতি 25 টাকা। বিদেশীদের জন্য জনপ্রতি 300 টাকা। 

ফুলের প্রদর্শনী: বছরে দুইবার (২৬ জানুয়ারি এবং ১৫ আগস্ট) লালবাগের গ্লাস হাউসে ফুলের প্রদর্শনী হয়, যা দেখা অবশ্যই উচিত।

প্রাকৃতিক সৌন্দর্য: লালবাগের বিশাল সবুজ এলাকা, লেক, এবং বিভিন্ন ধরনের গাছপালা উপভোগ করুন।

পরিবহন: ব্যাঙ্গালোর সিটি রেলওয়ে স্টেশন থেকে অটো বা পাবলিক ট্রান্সপোর্টে লালবাগে যাওয়া যায়, এবং লালবাগ মেট্রো স্টেশনও রয়েছে


2. বান্নেরঘাটা জাতীয় উদ্যান:  ব্যানারঘাটা জাতীয় উদ্যান, ব্যাঙ্গালোরে কেন্দ্র থেকে থেকে প্রায় ২ ঘণ্টা দূরে অবস্থিত প্রায় ২৬১ স্কোয়ার কিলোমিটার জুড়ে থাকা এক বিশাল জাতীয় উদ্যান।  এই জাতীয় উদ্যানের মূখ্য আকর্ষণ হল:

সাফারি: এখানে সিংহ এবং বাঘের সাফারি আছে।  এখানে প্রাণীদের জঙ্গলে ছেড়ে রাখা আছে আর পর্যটককে একটা গাড়িতে করে সেইসব জায়গা ঘুরিয়ে দেখানো হয়। জায়গাটায় আপনি প্রচুর হরিণ , রয়েল বেঙ্গল টাইগার , সাদা বাঘ, ভাল্লুক, সিংহ , হাতি, বিভিন্ন ধরণের সাপ  আরো  অনেক জন্তু-জানোয়ার দেখতে পাবেন।    
    • চিড়িয়াখানা: এখানে একটি চিড়িয়াখানা আছে, যেখানে ৪৮ প্রজাতির প্রাণীদের রয়েছে। 
    • জীববিজ্ঞান শিবির: এখানে একটি জীববিজ্ঞান শিবির রয়েছে, যেখানে একটি বাটফ্লাই গার্ডেন বা প্রজাপতি উদ্যান রয়েছে।  
শহরের বিভিন্ন জায়গাথেকে এখানে পৌঁছানোর বাস পাবেন।  তাছাড়া গাড়ি বা অটো ভাড়া করেও পৌঁছে যেতে পারেন।   

বান্নেরঘাটা জাতীয় উদ্যানে ভ্রমণের জন্য কিছু টিপস নিচে দেওয়া হল:

  • প্রস্তুতি: উদ্যানে যাওয়ার আগে প্রস্তুতি নিন। জলের বোতল, টুপি, সানস্ক্রিন এবং আরামদায়ক জুতা নিয়ে যান।
  • সময়উদ্যানটি মঙ্গলবার বাদে প্রতিদিন সকাল ৯:৩০ থেকে বিকাল ৫ টা পর্যন্ত খোলা।  সাফারির সময় ১০ থেকে ৪:৩০, দুপুরে লাঞ্চের জন্য ১ ঘন্টা বন্ধ থাকে । সপ্তাহান্তে ভিড় এড়াতে বিকেল ২টার আগে পৌঁছানো উত্তম।
  • টিকেট প্রবেশ মূল্য আপনি কিভাবে সাফারি করবেন তার পর নির্ভর করে।  সাধারণ বাস , এসি বাস গাড়ি, জিপ এসব নিয়ে ঘুরে দেখতে পারবেন। মাথাপিছু টিকিট ১৪০ টাকা থেকে  শুরু।  জিপ সাফারি হলে ৩৫০০ টাকা লাগবে। সপ্তাহান্তে টিকেটের জন্য আগে থেকে বুকিং করুন।
  • নিয়মাবলী: উদ্যানের নিয়মাবলী মেনে চলুন এবং আবর্জনা ফেলবেন না।
  • সাফারি: সাফারির সময় গাড়ির ভিতরে থাকুন এবং উজ্জ্বল রঙের পোশাক পরিধান এড়িয়ে চলুন।

বান্নেরঘাটা জাতীয় উদ্যানে আপনি বিভিন্ন প্রজাতির প্রাণী এবং পাখি দেখতে পাবেন, যেমন বাঘ, সিংহ, হাতি, এবং বিভিন্ন ধরনের পাখি। এছাড়াও, ভারতের প্রথম প্রজাপতি পার্কটি এখানে অবস্থিত। উদ্যানের সৌন্দর্য এবং প্রাকৃতিক পরিবেশ আপনাকে মুগ্ধ করবে।


  • 3. স্নো সিটি বা বরফের শহর : বেঙ্গালুরে কৃত্তিম ভাবে তৈরী বরফের থিম পার্ক রয়েছে।  এটি একটা ইনডোর পার্ক।  গরমের মধ্যেও আপনি যদি বরফের মজা নিতে চান তবে অবশ্যই এই জায়গাটা ঘুরে নিতে পারেন।  এখানে কৃত্তিমভাবে তৈরী স্নো ফল বা  তুষারপাতের মজা নিতে পারবেন আবার স্নো রাইড বা পাহাড়ে উঠবার আনন্দও নিতে পারবেন।  এখানে রয়েছে একটি স্নো ডান্স ফ্লোর।  সম্পূর্ণ জায়গাটির তাপমাত্রা থাকে  হিমাঙ্করে নিচে।  জায়গাটা জে সি নগরে যা প্রায় শহরের প্রাণকেন্দ্রে। স্নো পার্কার টিকিট ৫০০ - ৭৫০ টাকা করে।   স্নো সিটি প্রতিদিন সকাল ১০ টা থেকে সন্ধ্যা ৮ টা পর্যন্ত খোলা থাকে। 

বরফের শহর, ব্যাঙ্গালোরে ভ্রমণের জন্য কিছু টিপস নিচে দেওয়া হল:

  • পোশাক: বরফের শহরে প্রবেশের সময় আপনাকে শীতের পোশাক প্রদান করা হবে, তবে অতিরিক্ত আরামের জন্য উষ্ণ পোশাক পরা উচিত।
  • সময়: বরফের শহর প্রতিদিন সকাল ১০টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত খোলা থাকে। ভিড় এড়াতে সকালের দিকে যাওয়া ভালো।
  • টিকেট: সপ্তাহের দিনগুলিতে টিকেটের মূল্য ৫০০ টাকা এবং সপ্তাহান্তে ৬০০ টাকা। অন্যান্য ক্রিয়াকলাপের জন্য আলাদা মূল্য রয়েছে।
  • ক্যামেরা: বরফের মধ্যে ম্যাজিকাল মুহূর্তগুলি ক্যাপচার করার জন্য ক্যামেরা নিয়ে যান, তবে চরম তাপমাত্রায় ইলেকট্রনিক ডিভাইসের প্রতি সচেতন থাকুন।
  • ক্যাফে: বরফের শহরের মধ্যে থিমযুক্ত ক্যাফেগুলিতে গরম পানীয় দিয়ে নিজেকে উষ্ণ করুন।

বরফের শহরে আপনি বরফের মধ্যে খেলা, স্লাইডিং, স্নো রাফটিং এবং স্নো ডান্সের মতো বিভিন্ন মজার ক্রিয়াকলাপ উপভোগ করতে পারবেন। এছাড়াও, ৯ডি সিনেমা এবং গেম আর্কেডে বিভিন্ন গেম খেলার সুযোগ রয়েছে।

  •  4. বিধান সৌধ : বিধান সৌধ ব্যাঙ্গালোরে একটি ঐতিহাসিক ও সরকারি ভবন। এখানে ভ্রমণের জন্য কিছু টিপস দিচ্ছি:
    • সময়: বিধান সৌধ সাধারণত সকাল ৯টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত খোলা থাকে। সপ্তাহের শেষে এবং সরকারি ছুটির দিনে ভ্রমণের পরিকল্পনা করুন।
    • প্রবেশ মূল্য: বিধান সৌধে প্রবেশের জন্য কোনো টিকিট লাগে না। তবে ভ্রমণের জন্য অনুমতি প্রয়োজন।
    • পোশাক: সম্মানজনক পোশাক পরিধান করুন, কারণ এটি একটি সরকারি ভবন।
    • ফটোগ্রাফি: ভেতরে ফটোগ্রাফির জন্য বিশেষ অনুমতি প্রয়োজন। বাইরে থেকে ভবনের ছবি তোলা যেতে পারে।
    • সুরক্ষা: নিরাপত্তা চেকিং এর জন্য প্রস্তুত থাকুন এবং সব ধরনের ব্যাগ এবং পার্স চেক করা হবে।

  • 5. ওয়ান্ডারলা অমুউন্সমেন্ট পার্ক :ব্যাঙ্গালোরের ওয়ান্ডারলা অমুউন্সমেন্ট পার্ক একটি জনপ্রিয় আকর্ষণ। এখানে ভ্রমণের জন্য কিছু টিপস :
    • টিকিটের দাম: প্রাপ্তবয়স্কদের জন্য টিকিটের দাম ১৫১৬  টাকা তবে ফাস্ট ট্রাক টিকিট নিলে ৩০৩২ টাকা।  বাচ্চাদের ক্ষেত্রে ১২১২ ও ২৪২৫ টাকা।  এছাড়াও আলাদা আলাদা ক্ষেত্রে টিকিট ভাড়া কম বেশি হয় যা সর্বনিন্ম ৯৮৫ থেকে ৩০৩২ টাকার মধ্যে হয়।  জন্মদিনের দিনে এখানে গেলে আপনাকে ফ্রি টিকিট দেয়া হবে।  টিকিট ভাড়ার পর ১৮% GST দিতে হবে।  
    • আকর্ষণ: ওয়ান্ডারলা পার্কে অনেক রাইড এবং আকর্ষণ রয়েছে, তবে কিছু বিশেষ জিনিস আছে যা দেখা উচিত:
      • ল্যান্ড রাইডস: নানা ধরনের রাইড যা সব বয়সের জন্য উপযুক্ত।
      • ওয়াটার রাইডস: গরমে ঠান্ডা হওয়ার জন্য পানির রাইড উপভোগ করুন।
      • হাই থ্রিল রাইডস: অ্যাডভেঞ্চার প্রেমীদের জন্য উত্তেজনাপূর্ণ রাইড।
    • সময়: পার্কটি সাধারণত সকাল ১১টা থেকে সন্ধ্যা ৭টা পর্যন্ত খোলা থাকে। সপ্তাহান্তে ভিড় বেশি হয়, তাই সপ্তাহের মাঝামাঝি দিনে যাওয়া ভালো।
    • পোশাক: জলের রাইডের জন্য সুইমস্যুট বা নাইলনের পোশাক পরিধান করুন।
    • সুরক্ষা: সব রাইডের আগে নিরাপত্তা নির্দেশিকা মেনে চলুন এবং ছোট শিশুদের সবসময় নজরে রাখুন।
 
  • 6. কুবন পার্ক কুবন পার্ক, ব্যাঙ্গালোরের একেবারে মধ্যবর্ত্তী জায়গায় অবস্থিত, একটি সবুজ ও শান্ত অভয়ারণ্য। এখানে কিছু ভ্রমণ টিপস রইল :
    • প্রবেশ ফি: কুবন পার্কে প্রবেশের জন্য কোনো ফি নেই।
    • আকর্ষণ: পার্কের মধ্যে রয়েছে বিভিন্ন ধরনের উদ্ভিদ ও গাছপালা, সুন্দর ফুলের বাগান, এবং ঐতিহাসিক মূর্তি।
    • সময়: পার্কটি সকাল ৬টা থেকে সন্ধ্যা ৭টা পর্যন্ত খোলা থাকে।
    • করণীয়: পার্কে হাঁটাহাঁটি করুন, পিকনিক করুন, বা বই পড়ুন। এটি একটি শান্ত পরিবেশ যেখানে আপনি প্রকৃতির সাথে মিলিত হতে পারেন।
    • পরিবহন: পার্কটি ব্যাঙ্গালোরের কেন্দ্রে অবস্থিত, তাই বাস, অটোরিকশা, বা ট্যাক্সি দ্বারা সহজেই পৌঁছানো যায়।
    • শর্তাবলী : এখানে ছবি তোলা নিষেধ। 
     
  • 7. বেঙ্গালুরু প্যালেস বেঙ্গালুরু প্যালেস ভ্রমণের জন্য কিছু টিপস :
সময় নির্বাচন: বেঙ্গালুরু প্যালেস সকাল ১০টা থেকে বিকেল ৫:৩০টা পর্যন্ত খোলা থাকে। ভিড় এড়াতে সকালের দিকে যাওয়া ভালো।
প্রবেশ মূল্য: প্রবেশের জন্য টিকেটের মূল্য রয়েছে, যা ভারতীয় ও বিদেশি পর্যটকদের জন্য ভিন্ন। অডিও গাইডের জন্য অতিরিক্ত চার্জ আছে।
ফটোগ্রাফি: প্রাসাদের ভেতরে ফটোগ্রাফির জন্য অতিরিক্ত চার্জ আছে। তবে বাইরের দৃশ্য ও বাগানের ছবি তোলা ফ্রি।
পোশাক: প্রাসাদে যাওয়ার সময় সম্মানজনক পোশাক পরা উচিত। হালকা ও আরামদায়ক পোশাক পর্যটনের জন্য ভালো।
গাইডেড ট্যুর: প্রাসাদের ইতিহাস ও স্থাপত্য সম্পর্কে জানতে গাইডেড ট্যুর নেওয়া উপকারী।

এই টিপসগুলো মেনে চললে আপনার বেঙ্গালুরু প্যালেস ভ্রমণ আরও আনন্দময় ও স্মরণীয় হবে। ভ্রমণের সময় সবসময় স্থানীয় নিয়ম ও সংস্কৃতির প্রতি সম্মান দেখানো উচিত। 


  • 8. জোহর লাল নেহেরু প্লানেটোরিয়াম: জোহর লাল নেহেরু প্লানেটোরিয়ামে ভ্রমণের জন্য কিছু টিপস দিচ্ছি:
প্রস্তুতি: প্লানেটোরিয়াম সকাল ১০ টা থেকে বিকাল ৫:৫০, সোমবার বন্ধ।  ৩D শো ইংলিশ এর সময় সাধারণত দুপুর ১২:৩০ ও বিকাল ৪:৩০, সপ্তাহান্তে স্পেশাল শো হয় সকাল ১০:৩০।  তবে এই সময় কখনো কখনো বদল হয়, ফলে আগে এদের ওয়েবসাইট থেকে দেখে নিলে ভাল করবেন।  

সময় নির্বাচন: সাধারণত সপ্তাহান্তে এবং ছুটির দিনে ভিড় বেশি হয়। তাই কম ভিড়ের সময় যাওয়া ভালো।

পোশাক: প্লানেটোরিয়ামের ভেতরে ঠান্ডা থাকে, তাই হালকা সোয়েটার বা শাল নিয়ে যাওয়া ভালো।

ফটোগ্রাফি: প্লানেটোরিয়ামের ভেতরে ফটোগ্রাফি নিষিদ্ধ হতে পারে, তাই অনুমতি নিয়ে ছবি তুলুন।

শিক্ষামূলক অভিজ্ঞতা: প্লানেটোরিয়ামে বিভিন্ন শো এবং প্রদর্শনী থাকে যা মহাকাশ সম্পর্কে জানার জন্য উপকারী।

এই টিপসগুলো মেনে চললে আপনার প্লানেটোরিয়াম ভ্রমণ আরও আনন্দময় ও শিক্ষামূলক হবে। 


  • 9.১. ইস্কন মন্দির : ইস্কন মন্দিরে ভ্রমণের জন্য কিছু টিপস দিচ্ছি:
প্রবেশ মূল্য: মন্দিরে প্রবেশের জন্য কোনো প্রবেশ মূল্য নেই। সবাই বিনামূল্যে মন্দির দর্শন করতে পারেন।
দর্শনের সময়: মন্দির সকাল ৪:৩০ থেকে রাত ৮:৩০ পর্যন্ত খোলা থাকে। মঙ্গল-আরতি এবং সন্ধ্যা আরতির সময় মন্দিরে ভক্তদের উপস্থিতি বেশি হয়।
পোশাক: মন্দিরে যাওয়ার সময় সম্মানজনক পোশাক পরা উচিত। হালকা ও আরামদায়ক পোশাক পর্যটনের জন্য ভালো।
ফটোগ্রাফি: মন্দিরের ভেতরে এবং বাইরে ফটোগ্রাফি করা যায়, তবে মন্দিরের নিয়ম অনুযায়ী ফটোগ্রাফির জন্য অনুমতি নেওয়া উচিত।
প্রসাদ: দর্শনের সময় সমস্ত দর্শনার্থীদের বিনামূল্যে শ্রী কৃষ্ণ প্রসাদ বিতরণ করা হয়।

এই টিপসগুলো মেনে চললে আপনার ইস্কন মন্দির ভ্রমণ আরও আনন্দময় ও স্মরণীয় হবে। ভ্রমণের সময় সবসময় স্থানীয় নিয়ম ও সংস্কৃতির প্রতি সম্মান দেখানো উচিত।


৯.২. জামিয়া মসজিদ, কে আর মার্কেট:  ব্যাঙ্গালোরের প্রাণ কেন্দ্রে অবস্থিত। ৫ তলা সম্পূর্ণ মার্বেল দিয়ে তৈরি এটি ব্যাঙ্গালোরের সব চেয়ে বড় মসজিদ।  এখানে এক সাথে ১০ হাজার মানুষ প্রাথনা করতে পারে।  
সময়: সকাল ৫ টা থেকে সন্ধ্যা ৮:৩০ মিনিট পর্যন্ত এই মসজিদ খোলা থাকে।  এখানের থেকে ব্যাঙ্গালোরের অনেকগুলি ঘুরবার জায়গা খুবই কাছে হয়, যেমন টিপু সুলতান সামার প্যালেস , লালবাগ , কুবন পার্ক ইত্যাদি। 

৯.৩ সেন্ট ম্যারি'স বাসিলিকা  শিবাজী নগরে অবস্থিত ব্যাঙ্গালোরের সব চেয়ে পুরোনো ও বড় চার্চ।  ১৮৮২ সালে এই চার্চ টি স্থাপিত হয়েছিল।   সেপ্টেম্বর মাসে এখানে মা মেরির জন্মদিন পালিত হয়, এই সময়ে এখানে প্রায় ৫ লক্ষ মানুষের জমায়েত হয়ে থাকে।  এই অনুষ্ঠানটি এখানে প্রতি বছর ১০ দিন যাবৎ পালিত হয়ে থাকে।  ইংলিশ, তামিল ও কানাড়া ভাষায় এখানে প্রাথনা হয়ে থাকে।  
  • 10. চার্চ স্ট্রিট - সেন্ট মার্ক ক্যাথিড্রাল চার্চ স্ট্রিট, ব্যাঙ্গালোরে ভ্রমণের জন্য কিছু টিপস নিম্নরূপ:
বইয়ের দোকান: চার্চ স্ট্রিট হল বইপ্রেমীদের স্বর্গ। ব্লসম বুক হাউসের মতো বইয়ের দোকানগুলি অবশ্যই ঘুরে দেখুন
খাবার: পানি পুরি থেকে উচ্চমানের মুঘলাই খাবারের বিকল্পগুলি পাবেন এখানে
শপিং: চার্চ স্ট্রিটে হাঁটার সময় ফুটপাথের পাশে ছোট দোকান এবং স্ট্রিট ভেন্ডরদের অফারগুলি অবহেলা করবেন না। এখানে অনন্য সংগ্রহের জন্য অনেক কিছু পাবেন
শিল্প ও সংস্কৃতি: চার্চ স্ট্রিটে অনেক আর্ট গ্যালারি এবং লাইভ পারফরম্যান্স রয়েছে, যা ব্যাঙ্গালোরের শিল্প ও সংস্কৃতির বিভিন্ন দিক তুলে ধরে
পরিবহন: ব্যাঙ্গালোরের যে কোনো স্থান থেকে রাইড-শেয়ারিং সার্ভিস বা ট্যাক্সি ব্যবহার করে চার্চ স্ট্রিটে পৌঁছানো যায়।
  • 11. টিপু সুলতান ফোর্ট এন্ড প্যালেস : টিপু সুলতান ফোর্ট এন্ড প্যালেস, ব্যাঙ্গালোরে ভ্রমণের জন্য কিছু টিপস নিম্নরূপ:
সময় নির্বাচন: প্যালেস সোমবার থেকে শনিবার সকাল ১০টা থেকে বিকেল ৬টা পর্যন্ত এবং রবিবার সকাল ৮:৩০ থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত খোলা থাকে
প্রবেশ মূল্য: ভারতীয় নাগরিকদের জন্য প্রবেশ মূল্য হল INR 15 এবং বিদেশি নাগরিকদের জন্য INR 200
পোশাক: সম্মানজনক পোশাক পরা উচিত, বিশেষ করে যদি আপনি প্যালেসের ভেতরের মিউজিয়াম ঘুরতে চান।
ফটোগ্রাফি: প্যালেসের ভেতরে এবং বাইরে ছবি তুলতে পারেন, তবে অনুমতি নিয়ে তুলুন।
ইতিহাস জানা: প্যালেসের ইতিহাস এবং স্থাপত্য সম্পর্কে জানা আপনার ভ্রমণকে আরও সমৃদ্ধ করবে। এটি ইন্দো-ইসলামিক স্থাপত্যের এক অনন্য নিদর্শন
  1. পরিবহন: ব্যাঙ্গালোরের যে কোনো স্থান থেকে রাইড-শেয়ারিং সার্ভিস বা ট্যাক্সি ব্যবহার করে প্যালেসে পৌঁছানো যায়

No comments:

Post a Comment

পন্ডিচেরী ভ্রমণ গাইড

পন্ডিচেরী দক্ষিণ ভারতের অন্যতম ভ্রমণ স্থান। পন্ডিচেরী জায়গাটি তামিলনাড়ুর পাশে বলা ভাল তামিলনাড়ু ঘেরা ছোট্ট একটি কেন্দ্রশাসিত জায়গা।  পন্ডিচে...